Posts

Showing posts from March, 2020

কবুতর পালনের আধুনিক কলাকৌশল

Image
জেনে নিন লাভজনক কবুতর পালনের আধুনিক কলাকৌশল –  কৃষিবিদ মোঃ সিরাজুল ইসলাম গৃহপালিত বা পোষা পাখিদের মধ্যে কবুতর অন্যতম। সুপ্রাচীনকাল থেকে সুস্বাদু মাংস, সংবাদ প্রেরণ ও শখের জন্য কবুতর পালন করা হচ্ছে। ইদানিং অনেক লোক কবুতর পালনকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করেছেন। কবুতর পালনের গুরুত্ব  ঃ  কবুতর অত্যন্ত  নিরীহ ও শান্ত প্রাণী এবং সহজে পোষ মানে। আমাদের দেশের জলবায়ু ও বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত কবুতর পালনের উপযোগী। কবুতর পালনের গুরুত্ব ক্রমান্বয়ে তুলে ধরা হলো- এক জোড়া কবুতর ১২ মাসে ১৩ জোড়া পর্যন্ত বাচ্চা দেয়  কবুতরের মাংস সুস্বাদু ও বলকারক বলে সদ্য রোগমুক্ত ও প্রসব পরবর্তী ব্যক্তির জন্য উপকারী কোন মহৎ কাজের শুরুতে ‘শান্তির প্রতিক’ কবুতর ছেড়ে দেয়া হয় প্রজনন, শরীরবৃত্তিয় ও অন্যান্য অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মে কবুতর ব্যবহার করা হয় স্বল্পখরচ উৎকৃষ্ট মানের মাংস ও আয়ের উৎসরূপে কবুতর পালন লাভজনক উদ্যোগ; কবুতর পালন কার্যক্রম ক্রমেই জনপ্রিয়তা লাভ করছে বেকার যুবক এবং দুস্থ মহিলাদের কর্মসংস্থানের উপায় কবুতরের রোগবালাই কম ক্স এরা পোকা মাকড় ধ্বংস করে পরিবেশে...

কবুতরের বাসস্থান

Image
কবুতরের বাসস্থান   আমাদের দেশে বিশেষত গ্রামে টিন বা খড়ের চালা ঘরের কার্ণিশে মাটির হাড়ি অথবা টিন বেঁধে রেখে কবুতর পালনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া কাঠের তৈরি ছোট ছোট খোপ তৈরি করেও কবুতর পালা হয়ে থাকে। মজার ব্যাপার হলে, কয়েক জোড়া কবুতরের ঘর করে এক জোড়া কবুতর পালন করলে কয়েক দিনের মধ্যে বাকী ঘরগুলোতে নতুন জোড়া কবুতর এসে বাসা বাঁধে। কবুতর পোষা খুব সহজ এবং লাভজনক তা বলাই বাহুল্য। অল্প-পরিসরে যা বাণিজ্যিকভিত্তিতে কবুতর পালনের জন্য অবশ্যই সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। নিম্নে কবুতরের ঘর বা খোপ তৈরির বিশেষ ব্যবস্থাসমূহ আলোচনা করা হলো। স্থান নির্বাচনঃ  কবুতরের খামারের জন্য উঁচু ও শুষ্ক সমতল ভূমি থাকা প্রয়োজন। ঘরের উচ্চতাঃ  কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, বেজী ইত্যাদি যেন কবুতরের ঘর নাগালে না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ঘর উঁচু করতে হয়। এ উদ্দেশ্যে কাঠ বা বাঁশের খুঁটি পুঁতে তার উপর ঘর নির্মাণ করা যেতে পারে। ঘরের পরিসরঃ  প্রতি এক জোড়া কবুতরের জন্য একটি ঘর থাকা প্রয়োজন। এক জোড়া কবুতর যাতে ঘরের ভিতর স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে ফিরতে পারে তা লক্ষ্য রেখে ঘর নির্মা...

Hajigong road map.

Image

আমাদের দেশের কবুতর এর জাত

Image
তবে আমরা আমাদের দেশের কবুতর এর জাত গুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করে কিছু নাম তুলে ধরতে চেষ্টা করবো। ১. দেশী জাতের কবুতরঃ ২. গিরিবাজ বা হাইফ্লায়ার জাতের কবুতরঃ ৩. ফেন্সি জাতের কবুতরঃ ৪. রেসারঃ দেশী জাতের কবুতরঃ ১. গোলা ২. দেশি গিরিবাজ ৩. জালালি গিরিবাজ বা হাইফ্লায়ার জাতের কবুতরঃ হাইফ্লায়ার কবুতর  বলতে আমরা গিরিবাজ এর জাত টা কেই বুঝি। আমাদের দেশে অনেক ধরনের গিরিবাজ পাওয়া যায় কিন্তুু এর প্রধান উৎপতি ভারতে।  ভারতে এর নাম টিপলার। আমাদের দেশে দুটো কারনে এই কবুতর পালন করা হয় ১ রেসঅথবা পাললা দেওয়ার জন্য আর ২ হাইফ্লাইং এর জন্য। কিছু জাতের গিরিবাজ হাইফ্লাইং এর জন্য বিশ্বে  বিখ্যাত যেমনঃ ইন্ডিয়ান  কালদম,  পাকিস্তানি টেডি( ফ্লাইং টাইম ১২ ঘন্টা+). সারা পৃথিবীতে হাই-ফ্লায়ার কবুতরের ক্ষেত্রে পাকিস্তানি গিরিবাজ বিখ্যাত । এই কারনে গিরিবাজ জাত কে দুইটা ভাগে ভাগ করবোঃ (ক) সাধারন জাত (খ) হাইফ্লায়ার জাত। সাধারন গিরিবাজ জাতঃ ১. বাঘা ২. চুইনা ৩. কাগজি ৪. সুয়াচন্দন ৫. ঝাকগলা ৬. দোবাজ ৭. ঘিয়া-সুল্লি ৮. লাল-সুল্লি ৯. ঝাক ১০. লালদম ১১. জিরা গলা ১২. খাকি ১৩. সুরমা খাকি ১৪. লাল ...